আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬
ইসলামে মাস ও দিবস অনুযায়ী 2026 সালের ক্যালেন্ডার সম্পর্কে চলুন কিছু তথ্য জানা যাক।আরবি বারো মাসে কোন কোন দিনে কোন দিবস আছে ২০২৬ সালে চলুন সেই সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা যাক।
আমরা মুসলমান জাতি ধর্মে বিশ্বাসী। এই বিশ্বাস নিয়ে আমরা আরবি মাসে কোন দিনে কোন দিবস আছে, এই সম্পর্ক নিয়ে জানার আগ্রহ দেখায়। তাই চলুন আরবি মাসের ক্যালেন্ডার সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।
আরবি মাস মুসলমানদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ পাঠ। ২০২৬ সালের আরবি মাসে কোন দিনে কোন দিবস আছে। এই বিষয় গুলো আমাদের জীবনের এক একটি গুরুত্বপূর্ণ পাট। এই সালের বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানতে আমাদেরকে আগে আরবি ক্যালেন্ডার সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে।
পেজ সূচিপত্রঃ
- আরবি বারো মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬
- আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৬ সাল ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৮ পর্যন্ত
- ২০২৬ সালের আরবি ক্যালেন্ডার ১৯৪৮ সালের উল্লেখিত দিবস
- মহরম মাস
- রজব মাস
- রমজান মাস
- মুসলমানদের বিশেষ দিন হিসেবে ঈদের গুরুত্ব
- শাওয়াল মাস
- জিলহজ্জ মাস
- আরবি মাসের নাম
আরবি বারো মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬
২০২৬ সালের আরবি ক্যালেন্ডার আমাদের জীবনের একটি মূল্যবান পাঠ । এই আরবি ক্যালেন্ডারে ইসলামে সব ধরনের এবাদত বন্দেগী বা আরবি কোন সময় কোন ইবাদাত করা হবে সবগুলো জানতে সহায়তা করে। রমজান মাসের রোজা নির্ধারিত হয় বা শবে বরাত রোজার শেষ দশ দিন সম্পর্কে। আরো অনেক কিছু জানা যায় ।আর বারো মাসের নামের সিরিয়াল জানা যায়। তার সাথে আল্লাহকে বিশ্বাস করা। আর আল্লাহর কোরআনকে বিশ্বাস ইত্যাদি এসব কিছু আল্লাহ কোন সময় কোন দিনের জন্য দিয়েছে ও সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। এই সকল কিছু তথ্য বিশ্লেষণ করা হয় আরবি ক্যালেন্ডার দিয়ে।
আমাদের বিশ্বনবী (হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম )আল্লাহর নির্দেষে এই সব ইবাদাত করে গেছেন।আমাদেরকেও তার উম্মেত হিসেবে এইসব ইবাদত করার নির্দেশ দিয়ে গেছেন।তার নের্দেশিত পথে চলার জন্য আমাদেরকে আরবি দিন বিষয় মাস কোন সময় কোন ইবাদাত করতে হবে।এই সব কিছু জানার জন্য আরবি ক্যালেন্ডারের বিষয় বেশি বিশ্লেষন করতে হবে।
আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৬ সাল ১৯৪7 থেকে ১৯৪৮ পর্যন্ত
আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থাকবে ইসলামী ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত। আর ইসলামী সাল ১৯৪৮পড়বে ২৬ শে ফেব্রুয়ারিতে। সামনে আসছে আমাদের এই ২০২৬ সাল। তার সাথে পিছু পিছু সাড়া দিতে আসছে ইসলামি ১৯৪৮ সাল।আমাদের মুসলমানদের জন্য বহুল কাঙ্কিত এই ইসলামি সাল ১৯৪৮। এই সালের ইসলামিক দৃষ্টি সরুপ কোথায় কি আছে এই সব কিছু আনুধাবন করে বিশ্লেষন করে পাওয়া সম্ভব একমাত্র ক্যালেন্ডার দিয়ে।
আন্যান্য দৃষ্টি কোন থেকে দেখা যায় যে অন্যান্য ইসলামী দিবস গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রমজান মাস। এই মাস মুসলমানদের জীবনে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস যে আল্লাহ এই মাসে যেকোনো যুদ্ধ থেকে বা খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এই মাস ইবাদাত বন্দেগীতে থাকতে বেশি নির্দেশ আরোপ করেছেন।
২০২৬ সালের আরবি ক্যালেন্ডার ১৯৪৮ সালের উল্লেখিত দিবস
১৯৪৮ আরবি সা্লে উল্লেখিত কিছু কিছু দিন মাস আছে যা ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে মুসলমানদের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনের ফজিলত। ও দিনগুলোর ইবাদত সম্পর্কে মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া দেয়। আমরা মুসলমানরা ইসলামে বিশ্বাসী তাই ইসলামী দিক বিবেচনা করে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্বরূপ এই এই দিনগুলোর ইবাদত আমরা করে থাকি।
ইসলামী দিবস অনুযায়ী সাবানে আছে শবে বরাত ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে সাবান মাসে ১৪ তারিখ আছে সব বারাত এই তিনটি ও এই দিনের রাত মুসলমানদের জন্য ইবাদতমাস। শুধু এই সবে বারাত আছে তা না আরো অনেক দিবস ও ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে উল্লেখিত অনেক বিশেষ বিশেষ দিন মাস আছে যা মুসলমানদের জন্য আনন্দের ও ইবাদাতের। নিচে উল্লেখিত ইসলালামী মাসের দিবস গুলো আলোচনা করা হলোঃ-
মহরম মাস
আরবি মাসের বিশেষ উল্লেখিত মাস হিসাবে প্রথম মাস ধরা হয় মহরম মাস দিয়ে। ইসলামে চারটি পবিত্র মাসের মধ্যে এই মাসের বিশেষ ফজিলত সম্পর্কে জানা যায়। এই মাসের ১০ তারিখে আশুরা হিসেবে ধরা হয় এই মাস আশুরা হিসেবে বিশেষ পরিচিত। এই মাস সুন্নি সীরা সম্প্রদায়ের কাছে বিশেষ পরিচিত। ইসলামিক ক্যালেন্ডার প্রথম মাস হিসেবে মহরম মাসের পরে আছে সফর মাস।
রজব মাস
আরবি ক্যালেন্ডার উল্লেখিত মাসগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো রজব মাস। এই মাসের ফজিলত সম্পর্কে আছে ইশরা মিরাজ। এই মাসে ইবাদাত বন্দেগি করা হয়। তবে এই মা সম্পর্কে অনেক মতো বিরোধ রয়েছে । অনেক স্বাভাবিক অনেক ভাবে এই মাসকে তুলে ধরেছেন কেউ বলেছেন রবিউল আউয়াল মাসে ইসরা মিরাজ হয়। আবার কেউ বলেছেন রবিউল সানিতে হায়, আবার কেউ বলেছেন রজব মাসে ইসরা মিরাজ বিশেষ উল্লেখ উল্লেখ্য। এই নিয়ে অনেকে অনেক মতভেদ প্রকাশ করেছেন। তবে আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী রজব মাসে ইসরা মিরাজকে বিশেষ দিন হিসেবে প্রাধান্য দিয়েছেন ।
রমজান মাস
মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে পবিত্র ও ফজিলতের মাস রমজান মাস। এই মাসের মধ্যে রয়েছে মুসলমানদের জন্য কোরআন শরীফ নাজিলের দিন। মুসলমানদের জন্য এ কোরআন মাজীদ আল্লাহ নাযিল করেছেন। এই মাসে কুরআন শরীফ বেশি বেশি পড়া হয়, তারাবি পড়া হয়, রোজা রাখা হয় ইফতার করা, দান খয়রাত করা হয় গরিবদের। এই মাসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে আছে লাইলাতুল কদর রোজার শেষ দশ দিন লাইলাতুল কদর আমরা খুঁজি ইবাদতের মাধ্যমে নামাজ পড়ে।
মুসলমানদের বিশেষ দিন হিসেবে ঈদের গুরুত্ব
রমজান মাসের শেষে ৩০ দিন রোজার পর হয় ঈদ। রমজান মাস শেষে আসে ঈদ। আর এই ঈদ মুসলমানদের জীবনে আনন্দের উৎসব মুখর দিন। রমজানের শেষে এই দিনটির হচ্ছে ঈদুল ফিতর । সব ভেদাভেদ দুঃখ ভুলে আনন্দে মেতে উঠে সবাই মিলে এক সাথে। এ থেকে বোঝা যায় যে মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই । আমরা সুখে-দুখে একসাথে একে অপরের পাশে দাঁড়ায়।ও একসঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিই। ঈদ আসলে আমাদের মধ্যে এগুলোর বহিঃপ্রকাশ পাই ।
শাওয়াল মাস
শাওয়াল মাসের প্রথম দিনটি হচ্ছে ঈদুল ফিতর। রজব মাসে একটানা রোজার পর শাওয়ার মাসের ওর আবির্ভাব ঘটে।শাওয়াল মাসের প্রথম দিনটি শুরু হয় আনন্দ উৎসব দিয়ে। যা মুসলমানদের জীবনে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে উল্লেখ্য করা হয়েছে।
ঈদুল ফিতরের উদযাপিত দিনের পরে এই মাসের বিশেষ সাত দিনের ফজিলত আছে। এই মাসের যেকোনো ৭ দিন রোজা রাখা হয়। এ সাত দিন রোজা রাখলে একমাস রোজা রাখার সুহাব পাওয়া যায়।
জিলহাজ্জ মাস
জিলহাজ মাস হজ্জ ও ঈদুল আযহার মাস। ইসলামী ক্যালেন্ডারের ১২ তম মাস বা বছরের শেষ মাস। এই মাস হজ্জ পালনের মাস হিসেবে বিশেষ পরিচিত। এই মাসের বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা মক্কায় হজ পালন করে। এই মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আযহা পালন করা হয় ও কোরবানি দেওয়া হয়।
আরবি মাসের নাম
- মহরম মাস
- সফর মাস
- রবিউল আউয়াল
- রবিউস সানি
- জমাদিউল আওয়াল
- জমাদিউস সানি
- রজব
- সাবান
- রমজান
- শাওয়াল
- জিলকদ
- জিলহাজ

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url