আমার বিয়ে কবে হবে

 আমার বিয়ে কবে হবে, এর সঠিক সময় জানা সম্ভব না। কিন্তু জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী এই সম্পর্কে জানতে সাহায্য নিতে পারেন। আপনার জন্ম তারিখ গ্রহের অবস্থান বিশ্লেষণ করে একজন জ্যোতিবিদ আপনার ভাগ্য সম্পর্কে কিছু তথ্য জানাতে পারে। তবে জ্যোতি শাস্ত্রের ওপর নির্ভর করে না। কারণ ভাগ্য তো আল্লাহ তাআলা লিখেন তাই কেউ বলতে পারবে না সঠিকভাবে যে, তার বিয়ে কখন কোন সময় হবে এটা মূলত আল্লাহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আমরা কেবল উসিলা মাত্র। আল্লাহর হুকুম অনুসারে আমাদের যেমন মৃত্যু হয়। তেমনি আমাদের বিয়ে কার সাথে হবে বা কিভাবে হবে ও কখন হবে এই সব কিছু একমাত্র আল্লাহ নির্ধারণ করেন।

 আর আল্লাহর হুকুম অনুসারে আমরা আমাদের পছন্দের পাত্র পাত্রী নির্বাচন করি ও সময় দিন তারিখ ঠিকঠাক করি বিয়ে কিভাবে হবে। দুই পরিবারের সাথে সম্পর্ক কেমন হওয়া দরকার বা পরিবারের অভিভাবকের মতামত অনুযায়ী বিয়ের প্রোগ্রামের এরেঞ্জ করা হয়। আর বিয়ের জন্য পরিবারের মুরব্বিদের পরামর্শ কে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। ভবিষ্যৎ যেমন প্রকৃতগত দিক থেকে আসে তেমনি মানুষের বিয়ে প্রকৃতগত কখনো বিয়ের সম্বন্ধ বেশি আসে আবার কখনো আসে না বা কম আসে এটা প্রকৃতির লীলা খেলা।

আমরা যেমন কর্ম করি তেমনি আল্লাহ আমাদের কর্মফল দিয়ে থাকে। তেমনি আপনি আপনার জীবনসঙ্গী নির্বাচন করার জন্য অবশ্যই ভালো দিক দেখবেন আর আপনার ভালো দিকগুলো বিবেচনা করে আল্লাহ আপনাকে আপনার জীবনসঙ্গী নির্বাচন করে দেবেন।সেজন্য আপনি আল্লাহ দেবেন বলে বসে থাকবে সেটা করলে হবে না।কারণ পরিশ্রম না করলে কখনো ফল পাওয়া যায় না। তাই নিজের জীবনসঙ্গে নির্বাচন করার সময় আপনি নিজে দেখে নিবেন। যেন আপনার সাথে আপনার জীবনসঙ্গীর মিলে যায়। যেমন দেখতে পারেন যে আপনার বয়স ২৫ বছর তাহলে আপনার জীবন সঙ্গীর বয়স হতে হবে ২০ বছর।

আমার-বিয়ে-কবে-হবে

আপনি বিয়ে করার আগে মেয়ের বয়স বা মেয়ের সাথে কথা বলে নিবেন এবং তার পছন্দ অপছন্দ গুলো জানবেন ও তার পরিবার সম্পর্কে জানবেন তবে আপনার জীবন সুন্দর হবে। গবেষণার এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, কোন ছেলে মেয়ে বিয়ে করার আগে তাদের বয়েস গুলো আগে মেটার করে। কারণ গবেষণায় দেখা যায় ২৫ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে ছেলেমেয়ে বিয়ে করলে এদের দাম্পত্য জীবন সুখের হয়। বিবাহ বিচ্ছেদ ও কম হয়। সংসার স্থায়ী হয় ও সুখের হয়।

বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আরো কিছু লক্ষণ আছে যেমন,- প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়ে হতে হবে পেশাগত লক্ষ সামাজিক পরিস্থিতি আর্থিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে। প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনে তাদের মনে এই প্রশ্ন ছিল আমি কখন বিয়ে করবো? অনেকে তাদের জন্ম তারিখ অনুসারে বিয়ের দিন তারিখ খোঁজর চেষ্টা করে। বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ এই যুগে কোন কিছু করা অসম্ভব না। মানুষ তার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন, পোশাক, আসবাবপত, নানা ধরনের খাবার ইত্যাদি ঘরে বসে অনলাইনে পেয়ে থাকে ও দেশ-বিদেশের খবরা খবর ঘরে বসে থেকে ইন্টারনেটের সাহায্যে ও google এর মাধ্যমে পেয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ আমার বিয়ে হবে।

পেজসূচিপত্রঃ

Google আমার বিয়ে কবে হবে। কার সাথে হবে

আমাদের প্রত্যেকের জীবনে বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। মহান আল্লাহতালা প্রত্যেক নারী-পুরুষের জীবনে বিয়ে ফরজ করে দিয়েছেন। কিন্তু আমার বিয়ে কখন হবে একমাত্র আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন ছাড়া আর কেউ জানে না। আল্লাহ প্রত্যেকের জীবনের জন্ম মৃত্যু বিয়ে নির্ধারণ করে দিয়েছেন তার নিয়ম অনুসা। তার ইশারায় সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হয়। কিন্তু বর্তমান যুগ ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবস্থা এমন হয়ে গেছে যে, মানুষ চাওয়া মাত্রই তার পছন্দের সবকিছু পেয়ে যায়। গুগল তো বিশ্বের সব কিছু খবরা খবর রাখে তার কাছে যদি আমরা আমেরিকার আজকের নিউজ সম্পর্কে জানতে চাই তখন google সবকিছু আমাদের বলে দেয়।

কিন্তু গুগলকে যদি আমি বলি আমার বিয়ে কবে হবে বা কার সাথে হবে। তাহলে google কি সে কথা বলতে পারবে চলুন দেখা যাক। আমি যদি গুগল এর কাছে গিয়ে বলি ভূগোল আমার বিয়ে সম্পর্কে আমাকে বলে দাও। যে আমার বিয়ে কবে হবে তখন google থেমে যাবে গুগলের  কারণ। গুগলের কাছে সেই তথ্য নেই। গুগল তো বর্তমান সম্পর্কে অবগত ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তার কোন অভিজ্ঞতা নেই। আর যদি বলি কার সাথে হবে বিয়ে।  তবুও গুগল সে তথ্য দিতে পারবে না। কারণ গুগল সেই তথ্য দেই, যে তথ্য বর্তমানে আমরা গুগলকে বলি। আর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কেউ বলতে পারবে না

Google আমার বিয়ে না হলে কি করবো। বিয়ে না হলে কি করা উচিৎ

কোন পরিবারের ছেলেমেয়ে যদি উপযুক্ত থাকে। তার যদি বিয়ের বয়স হয়ে থাকে। কিন্তু বিয়ে হচ্ছে না। সম্বন্ধে ঠিকমতো আসে না। তাহলে কি করা উচ। এই সম্পর্কে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ওই ছেলের বা মেয়ের বাবা-মা যদি কিছু নিয়ম মানে। তাহলে তাদের ছেলেমেয়েদের বিয়ে হবার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। তাই আমরা গুগলকে না বলে, এবং গুগলের সময় নষ্ট না করে আমরা কিছু নিয়ম মানতে পারি। 

আমার বিয়ের কিছু আমল। বিয়ের নিয়ম নীতি


বিয়ের-নিয়ম-কানুন-আমল



উপযুক্ত বয়সে বিয়ে দেওয়া প্রত্যেক ছেলে মেয়ের পিতা-মাতার কর্তব্য। তাই পিতা-মাতা উপযুক্ত বয়সে ছেলে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে থাকে। কিন্তু সঠিক নিয়ম নীতি অনুযায়ী বিয়ে দেওয়ার কিছু আমল আছে। কোন ছেলে মেয়ের বাবা-মার মধ্যে একজন যদি এ আমল করে তাহলে তথিত ফল পাওয়া যাবে। দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বে এবং তার সাথে তাসবি পড়বে নিয়ম অনুযায়ী। নামাজ শেষে এই তাসবিহ পড়বেন (ইয়া লাতিফু) একশত বার পড়বে। আরো (ইয়া সাত্তারু) একশতবার পড়বে। আর আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন।আর বলবেন আপনার মনের কথা। অবশ্যই আল্লাহ অতি দয়াশীল আপনার কোথায় অবশ্যই সাড়া দিবেন। অবশ্যই এইসব নিয়ম নীতি পালন করলে আপনার ছেলে মেয়ের বিয়ে খুব তাড়াতাড়ি হবে।

২০ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল। google আমার বিয়ে কবে হবে

যে সকল ছেলে মেয়েদের বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে, সেই সকল ছেলেমেয়েদের ২০ দিনের আমলটি আতি কার্যকারী। সেই সকল ছেলেমেয়েরা নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে এবং প্রতি 20 দিন ফজরের নামাজের পর দরুদ শরীফ ৭৫ বার পড়বে এবং আল্লাহর কাছে মনোজত করে নিজের ইচ্ছাগুলো মহান আল্লাহকে জানাবে। অবশ্যই আমলটি করে আপনি উপকৃত হবেন।

৩০ দিনে বিয়ে হবার আমল। google কখন বিয়ে হচ্ছে না

প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য বিয়ে করা ফরজ। তাই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে সঠিক সময় অনুযায়ী বিয়ে করা। কিন্তু পেশাগত কারণ,  ব্যক্তিগত কারণ,  সামাজিক  কারণ, সব মিলিয়ে যখন বিয়ে করতে অনেক দেরি হয়ে যায়। তখন আমাদের বিয়ের বয়স পেরিয়ে যায়। সঠিক সময় মত বিয়ে করা হয় না। আর বিয়ের বয়স পার হয়ে গেলে নিজের বয়সের সাথে জীবন সঙ্গীর বয়স  মিলানো কঠিন হয়ে যায়। তখন আমাদের মধ্যে হতাশা কাজ করে। শুধু মনে হয় আমার বিয়ে কোথায় কখন কিভাবে হবে এই চিন্তা ভাবনায় বেশি কাজ । আর মনে হয় বিয়ে হতে এত বেশি দেরি হচ্ছে কেন।

যাদের বিয়ে হচ্ছে না সেই সকল ছেলেমেয়েদের উদ্দেশ্যে বলবো আপনারা টানা ৩০দিনের আমলটি করেন। প্রতি দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার পর যেকোনো এক অক্তের নামাজের পর সূরা ইখলাস তিনবার পড়বেন। সূরা ইখলাস-( কুল আল্লাহু আহাদ আল্লাহ হুশ সামাদ লাম ইয়ালি, ওয়ালাম ইউলাদ ওয়ালাম ইয়া কুল্লাহ কুফুয়ান আহাদ) এই সূরাটি অতি কার্যকর। এর সাথে আরো পড়বেন (হোয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম) একশতবার পড়ে হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুলে ফু দিয়ে সেই হাত দিয়ে চোখ মুখ স্পর্শ করবেন তবে আপনার মনের আশা পূর্ণ হবে।

আমার বিয়ে কত বছর বয়সে হবে

বিয়ে আমাদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ। যখন আমরা প্রাপ্তবয়স্ক হই তখন আমাদের মনের মধ্যে একটা প্রশ্ন জাগে।যে আমাদের বিয়ে কার সাথে বা হবে আর কিভাবে হবে কখন হবে। বিয়ে করলে জীবনসঙ্গী বা কেমন হবে। জীবনসঙ্গর সাথে কিভাবে সময় কাটাবো কিভাবে তার মনের কথা বুঝবো। আবার কিভাবে বা আমার মনের অনুভূতি তবে বোঝাবো এই সবকিছু আমাদের চিন্তাভাবনাতে আসে। তাই এই সকল কিছু দিক অনুসরণ করে আমাদেরকে বিয়ের দিকে এগুনের জন্য নিজের সঠিক বয়স নির্বাচন করতে হবে। তাই আমি মনে করি, আমার আপনার বিয়ের বয়স ২৫ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে করা উচিত। এই সময় বিয়ে করলে আমাদের সংসার জীবন সুখের হায়। আবার ৩৫ বছরের নিচে বিয়ে করলে সংসার জীবন বেশিদিন যায় না তাই আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যে আমি এবং আপনি বিয়ে করবো ২৫ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।

আপনার বিয়ে কবে হবে সে সম্পর্কে কিভাবে জানবেন বা বুঝতে পারবেন 

জ্যোতি শাস্ত্র মতে, কিছু লক্ষণ আছে সেগুলো দেখতে পেলে আপনি বুঝবেন আপনার বিয়ে কখন হবে। হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলের নয়টি তীর্যক রেখা নব গ্রহের দিকে ইশারা করে। বৃদ্ধা আঙ্গুলের প্রথম রেখা আপনার জীবনের অনেক রকম রহস্য জানতে সাহায্য করে। প্রথমে ১০ বছর পরে ২০ বছর তারপরে ৩০ বছর এভাবে ১০ বছর পর পর রেখা বিশ্লেষণ করা হয়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় রেখার মাঝখানে যদি কোন চিহ্ন দেখা দেয় তবে বুঝবেন আপনার বিয়ে ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হবে। তৃতীয় ও চতুর্থ দেখার মাঝখানে জীবনসঙ্গীত কোন চিহ্ন দেখতে পেলে বুঝবেন আপনার বিয়ে ৩০ তারিখে ৪০ বছরের মধ্যে হবে।

আপনার বিয়ে সম্পর্কে লম্বা বৃদ্ধা আঙ্গুলের লক্ষণ

কোন ব্যক্তির বৃদ্ধা আঙ্গুল যদি লম্বাটে হয়, তাহলে বুঝবেন ওই ব্যক্তির ভাগ্য অতি মূল্যবান। এমন ব্যক্তি নিজে আয় উপার্জন করতে সক্ষম।সেই ব্যক্তি তাড়াতাড়ি বিয়ে হবার সম্ভাবনা ও বেশি। আমাদের সমাজে সেই ব্যক্তি বিয়ে তাড়াতাড়ি হয় যে ব্যক্তি নিজে নিজেই স্বাবলম্বী। আর সেই ব্যক্তিকে সমাজ ও পরিবার বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে তার সাথে তাদের ছেলেমেয়ে বিবাহের সম্পর্কে বেশি আগ্রহ দেখা দেয়।

জন্ম তারিখ অনুযায়ী বিবাহের ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস

জন্ম তারিখ দ্বারা বিবাহের পূর্বাভাস জানতে চেষ্টা করা। আপনারা কি জন্ম তারিখ দিয়ে বিবাহের পূর্বাভাস জানতে চেষ্টা করেছিলেন।আশা করছি করেছেন। আপনি যদি আপনার বিয়ে সম্পর্কে জানতে কোন জ্যোতি বিদ এর কাছে জান।তবে জন্ম তারিখ অনুসারে আপনার বিয়ের খবর জ্যোতিবিদ দিতে পারবে।কিন্তু সেটা কতোটা বাস্তব হবে সেটার কোন সঠিক কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না।জ্যোতিষ আপনার জন্ম তারিখ ব্যবহার করে আপনাকে বলে দিতে পারবে আপনার বিয়ে কবে হবে।আপনার জন্ম কুণ্ডলী ব্যবহার করে আপনাকে বলবে আপনার বিয়ে কখন।আপনার জন্ম কুণ্ডলী অনুসারে আপনার বিয়ের শুভ সময়, স্থান এবং যখন বিয়ে করবেন তা সম্পর্কে তথ্যপ্রধান করবে।

লাভ ম্যারেজ ভালো নাকি অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ ভালো


লাভ-ম্যারেজ- ভালো- নাকি- অ্যারেঞ্জ- ম্যারেজ-ভালো


লাভ ম্যারেজ ভালো নাকি অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ ভালো আপনি কোনটি বেছে নিবেন চলুন সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।প্রেমের বিয়ে আপনি বেছে নিবেন নাকি অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ বেছে নিবেন এটি আপনার একান্ত মনের ব্যাপার। এক একজনের পছন্দ এক এক রকম। কারো পছন্দ লাভ করে বিয়ে করার কারো পছন্দ পারিবারিক পছন্দে বিয়ে করা।তাই সবাইকে একভাবে তুলনা করলে হবে না।সবার মতামতকে ভিন্ন ভাবে দেখতে হবে। আমার মতে লাভ ম্যারেজ করে বিয়ে করা বেশি ভালো আমি একে বেশি সমর্থন করি। কারণ এর মধ্যে দুটি মনের বেশি প্রাধান্য পাই। কিন্তু অন্যজন সেটা নাও পছন্দ করতে পারে।সেই পছন্দ করতে পারে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ।সেই চাই তার পরিবারের লোকজনের মতামত থাকবে সঙ্গে থাকবে পিতা-মাতা ও মুরুব্বীদের আশীর্বাদ ও দোয়া। আর এরেঞ্জ ম্যারেজ বিয়েতে পরিবারের আয়োজন সাজগোজ এর প্রাধান্য দেওয়া হয় এবং তৃতীয় পক্ষের বেশি প্রাধান্য থাকে।

বিয়ে আপনার তাই একান্ত ব্যক্তিগত মতামত আপনার, সংস্কৃতি ভালোবাসা সামাজিকতা সব দিক খেয়াল করে আপনার মনের প্রাধান্য বেশি দেওয়া দরকার। কারণ আপনি কিভাবে সুখী হবেন সেটাই আপনার কাছে মূল্যবান। তাই আপনি অ্যারেঞ্জ না লাভ ম্যারেজ, যেকোনো দুটোর মধ্যে একটিকে বেছে নিতে পারেন। যেন সেটি আপনার মনের মতো হয়। আর সেখানে আপনার সুখ শান্তি বজায় থাকবে।

বিয়ে সম্পর্কে মন্তব্য

লাভ ম্যারেজ নাকি অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ। কোন  বিষয়ে বিবেচনা করে বিয়ে করবেন। আর বিয়েটা টিকবে তো নাকি বিচ্ছেদ হবে। ২৫ থেকে তিরিশে বিয়ে না আরো দেরিতে । বিয়ের পিরিতে বসবেন নাকি বসবেন না। সকল বিষয় নিয়ে মানুষের জানার কোন শেষ নেই। তবে বিশেষ করে বিয়ের ক্ষেত্রে , বিয়ের কৌশল নিয়ে মানুষের জানার কোন শেষ নেই। এ সকল বিষয় কিন্তু আপনি ঘরে বসে জেনে নিতে পারেন। চলুন দেখি কিভাবে জানা যায় ।

প্রথমে জেনে নেওয়া যাক কোথায় ম্যারেজ লাইন। কনিষ্ঠ আঙ্গুলের নিচের আড়াআড়ি ভাবে থাকে ম্যারেজ রেখা। এই চিহ্ন দেখে জানা যায় আপনার বিয়ে কখন হবে। ম্যারেজ লাইন যদি ছোট হয় তাহলে আপনি বুঝবেন আপনার বিয়ে হতে আরো অনেক দেরি হবে। আরো ৩০ থেকে ৪০ বছর লেগে যাবে বিয়ে হতে । আর যদি এই লাইনে মাঝ বরাবর হ। তাহলে আপনি বুঝবেন আপনার বিয়ে খুব তাড়াতাড়ি হবে।

আর যদি দেখেন ম্যারেজ লাইন লম্বা বিস্তৃত হয় তাহলে আপনার জীবন সুখী হবে। আরো যদি দেখেন আপনার ম্যারেজ রেখা ভেঙে ভেঙে আছে। তাহলে বুঝবেন আপনার জীবনে সমস্যা আছে। কিন্তু এটা বেশিদিন স্থায়ী নয়। শেষ পর্যন্ত আপনি সফল হবেন। কিভাবে বা বুঝবেন আপনার সম্পর্কে বিচ্ছেদ হবে কিনা। যদি দেখেন আপনার হাতে বুড়ো আঙ্গুলের নিচে থেকে উঁচু জায়গা পর্যন্ত কোন রেখা থাকে তাহলে আপনি বুঝবেন সম্পর্ক বেশিদিন থাকবে না।

 নিজের বিয়ে নিজের মতামত

নিজের বিয়ে, নিজের ভাবনা, নিজের মতামত, নিজের চিন্তা, নিজের মন, নিজের জীবন এই সবকিছু আপনার একান্ত নিজের। তাই আপনাকে আপনার নিজস্ব সর্ব বিষয়ে চিন্তা -ভাবনা করে এগোতে হবে যে আমার বিয়ে কিভাবে করব । আপনি ছেলে হলে চিন্তা করবেন যে, আপনার পেশাগত দিক থেকে আপনি স্বাবলম্বী। তাই আপনি নিজের দায়িত্ব নিজে পালন করতে পারবেন। নিজস্ব জীবনসঙ্গী নিজে পছন্দ করে বিয়ে করেন। জীবনসঙ্গী নির্বাচন করার সময় আপনি আগে তার সাথে কথা বলবে তার মতামত জানতে চাইবে। তার বয়স আপনার বয়সের সাথে মিল রেখে সর্ববিষয়ে চিন্তাভাবনা করে দুজনের মতামত অনুসারে বিয়ের কথা বলবেন। বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্ট। ছেলে মেয়ের স্বপ্ন আর এই স্বপ্ন পূরণে আপনার জীবন সঙ্গী যদি হয় আপনার মনের মত । তবে জীবন মধুময় হয়ে উঠব।

Google আমার বিয়ের অ্যারেঞ্জমেন্ট কিভাবে করা যায়

বিশ্বের সেরা সার্চ ইঞ্জিন হলো google সার্চ ইঞ্জিন। তাই গুগলকে বিশ্বের জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন বলে আখ্যায়িত করা হয়। যে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়ার জন্য গুগল অসাধারণ কাজ করে।তবে একটি মজার বিষয় এই যে google কি আপনার বিয়ের কথা বলতে পারবে। অবশ্যই না কারণ google ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অবগত নয়। google জীবনের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা দিতে সক্ষম নয়। তবে google কিছু তথ্য দিতে পারে। যেমন- আপনি যদি জিজ্ঞাসা করেন গুগল কে যে আমার বিয়ের অ্যারেঞ্জমেন্ট কি রকম ভাবে করব তবে google আপনাকে কিছুটা সাহায্য করতে পারে। google আপনার বিয়ের অ্যারেঞ্জমেন্ট সম্পর্কে নিয়মকানুন বলে দেবে। কিভাবে প্রোগ্রামে হবে কোন অনুষ্ঠান কি রকম ভাবে অনুষ্ঠিত হবে এ ব্যাপারে গুগল আপনাকে সাহায্য করতে পারবে।

Google আপনাকে আপনার বিয়ের অনুষ্ঠানের যাবতীয় খাবারের তালিকা দিতে পারবে। কোন দিন কোন অনুষ্ঠান হবে এই সব তথ্য দিতে পারে। যেমন-গায়ে হলুদের দিন কি অনুষ্ঠান হবে কিভাবে হবে যাবতীয় সব তথ্য দিয়ে থাকে। আরো আছে বিয়েতে হাতের মেহেদি কি রকম ডিজাইনে খাবে মধুর হাতে সেই সকল সব তথ্য দেয়। বিয়ের দিন আত্মীয়-স্বজনের এবং বিয়েতে আমন্ত্রিত অতিথি বৃন্দ কে কিভাবে আপ্যায়ন করা হবে। বর বধূর বিয়ের আসন কেমন হবে। বিয়েতে জাঁকজমক আয়োজন এই সম্পর্কে সব তথ্য গুগল ডিজাইন সহকারে বা টেবিল সহকারে সাজিয়ে সহকারে সাজিয়ে দিতে পারবে।

বিয়ে সম্পর্কে উক্তি

বিয়ে মানে এক ছাদের নিচে থাকা নয়। বিয়ে মানে ঝড় এলে একসাথে পাশে দাঁড়ানো। প্রতিদিন নতুন করে প্রেমে পড়া।যেই মানুষটাকে তুমি একদিন কবুল বলে ছিলে সেই মানুষটি তোমার কবুল বলার  সাথে সাথে তোমার জীবনের সুখ দুঃখকে সেই দিন থেকে ভাগা ভাগি করে নিয়েছে।সেই কবুলের সাথে তোমাকে কথা দিয়েছে যে যতো ঝড় আসুক না কেনো আমি তোমার পাশে থাকবো।তোমার সুখ দুঃখের সঙ্গি হবো। দিয়ে দুটি মনের আত্মার বন্ধন। আমাদের সমাজে ধর্মে বিয়েকে অত্যান্ত মর্যাদার বৃষ্টিতে দেখানো হয়। প্রেম দায়িত্ব, ত্যাগ ভালোবাসা বিশ্বাসের উপর গড়ে ওঠে সম্পর্ক।

 বিশ্বের যুগে যুগে এ সম্পর্ক চলে আসছে যা সব সম্পর্কের থেকে সর্বোত্তম সম্পর্ক বিয়ে। তাই স্বামী স্ত্রী কখনোই তারা প্রতিদ্বন্দ্বে ন। তারা একে অপরের সহযোগী সহ যোদ্ধা। অনেকে মনে করে বিয়ের পর প্রেম কমে যায়। কিন্তু এটা একদম ঠিক কথা নয়। কারণ বিয়ের পর প্রেম ভালোবাসা আরো বেশি হয়। সংসারে একে আপরের দায়িত্ব বাড়ে স্রদ্ধা বাড়ে সন্মান বাড়ে।একে আপরের প্রতি দায়িত্ব এমন ভাবে বেড়ে যায় যে খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে সর্ব বিষয়ে খোজ খবর রাখা। 

বিয়ের শেষ কথা

প্রত্যেক মানুষের জীবনে বিয়ে সংসার আছে।তাই সংসার জীবন যেমন মধুর তেমনি জটিল। কিন্তু সবকিছু দিক বিবেচনা করে আমাদের চলতে হয়। আমার বয়স যদি ২৫ -৩০ হয়ে থাকে তবে আমি বিয়ে করবো কারণ বিয়ে প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই জীবনে বেঁচে থাকতে গেলে বিয়ে করতে হবে। বিয়ে করলে টেনশন দূর হয় মানুষের শান্তি বজায় থাকে। জীবনসঙ্গীর ছোঁয়াই জীবন পাল্টাতে সাহায্য করে। তাই আমি আপনি আমাদের সঠিক বয়স বিবেচনা করে বিয়ে করব।

 একজন ভালো সঙ্গী ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অধিকারী জীবনকে সুন্দর করে দেয়। জীবনসঙ্গী আর আপনি একসঙ্গে থাকলে দুজনের মধ্যে বোঝাপড়া একে অপরের প্রতি সম্মান অনুগত, হাস্যরস, এই সব কিছু আপনার শরীর মনকে সতেজ করে। জীবনে অনেক মানুষ আসে যায় কিন্তু একজন জীবনসঙ্গী সারা জীবন আপনার পাশে থেকে যায়। সেই আপনার শেষ বয়স পর্যন্ত আপনার পাশে থাকবে আপনার সুখ দুঃখীর সঙ্গী সেই।

জীবন সঙ্গী মানে প্রেম নয়- জীবনসঙ্গী মানে একজন মহা যোদ্ধা, একজন শ্রোতা, একজন নির্ভরতার তাই জীবনসঙ্গী মানে এমন একজন মানুষ যার পাশে থাকলে সব সমস্যা সামান্য মনে হয়। আর শান্তি তাই হয়ে যায়, সবচেয়ে বড় শক্তি। তাই একজন ভালো সঙ্গী মানে জীবনের অর্ধেক যুদ্ধ জয়ের সমান। সংসার ছেলে মেয়ে জীবন সঙ্গী একসঙ্গে মিলে মধুর সংসার গড়তে হবে।তাই আপনি আমি জিবনের শেষ বয়সে ভালো থাকার জন্য বিয়ে করবো। 

নিজের জীবন নিজের মন সবকিছু আপনার নিজেরই। তাই নিজে কিভাবে ভালো থাকবেন সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিজের মতামতের প্রায়োরিটি দিবেন। বিয়ে করার জন্য যদি আপনার পছন্দের ব্যক্তি থাকে তবে তাকে আপনার জীবনসঙ্গী করতে পারেন। কারণ সেখানে আপনি বুঝতে পারবেন তার সাথে আপনার মনের মিলবন্ধন কতটা। আপনি যদি অশান্তি থাকে আপনার হয়ে কেউ আপনাকে শান্তি এনে দিবেনা। তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে এই জীবন আমার তাই জীবন সঙ্গী নির্বাচন করা আমার অধিকার।

তাই পরিশেষে বলা যায় যে আপনি জীবনে সুখী হতে চাইলে আপনাকে আগে বিয়ে করতে হবে। বিয়ে ছাড়া জীবন স্বার্থক হয় না। তাই জীবনের সার্থকতা নিয়ে আসতে গেলে আমরা বিয়ের মতো ফরজ কাজটি আগে করব। বিয়ে থেকে জীবনের নতুন অধ্যায় সূচনা হয়। কেউ বিয়ে করেন বা কাউকে পছন্দ করে বিয়ে করেন। আবার কেউ পরিবারের পছন্দের বিয়ে করেন। যেভাবেই পছন্দ হয় না কেন সেভাবে আপনারা বিয়ে করেন।

মন্তব্য

বিভিন্ন ব্লগ ওয়েবসাইটে জীবনসঙ্গী সম্পর্কে ভিত্তি করে গল্প প্রকাশিত হয়। facebook instagram এর মত সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্ম গুলোতে জীবনসঙ্গী নিয়ে লেখালেখি করা হয়। তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন যে বিয়ে কতটা গুরুত্বপূর্ণ জীবনে। বিশ্বের যা কিছু আল্লাহ সৃষ্টি করে দিয়েছেন এসব কিছুর মধ্যে রয়েছে ভালোবাসা। আর এই ভালবাসার মিল বন্ধনে আবদ্ধ নারী পুরুষ সামাজিকতার বজায় রেখে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে নারী পুরুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর তাদের ভালোবাসা কে আল্লাহ ফরজ করে দিয়েছেন।

ইসলামের দৃষ্টিতে জীবনসঙ্গী সেই ব্যক্তি, যার হাত ধরে তুমি জান্নাতের পথে হাঁটবে যে তোমার দুনিয়ায় এবং আখিরাত ভাইয়ের সৌন্দর্য হবে। একজন মুমিনের জীবন মুমিন স্বামীর সম্পর্ক যেখানে ভালোবাসার পাশাপাশি আল্লাহর ভীতি দোয়া ধৈর্য জড়িত থাকে।

উপসংহার

 পরিশেষে বলা যায় যে, আমার বিয়ে কবে হবে? কখন হবে বা কিভাবে হবে বিয়ে হচ্ছে না কেন এই সকল বিবরণ উপরিক্ত আলোচনায় দেখানো হলো। এই সকল কিছু থেকে বলা যায় যে বিয়ে প্রত্যেক মানুষের জীবনে অপরিহার্য । বিয়ে ছাড়া মানুষের কোন অস্তিত্ব নেই। বিয়ের মতো সুন্দর সম্পর্ক আল্লাহ প্রত্যেক মানুষের জীবনে ফরজ করে দিয়েছে। উপরের আলোচনা গুলো আমরা যদি পড়ি আমাদের বিয়ে কবে হবে কখন হবে এ সম্পর্কে জানতে চাই তবে আপনি উপরের লেখাগুলো পড়ে জ্ঞান নিতে পারেন।যা আপনার বিয়ে সম্পর্কে আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন। উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারি যে আমাদের জীবনের বিয়ের অধ্যায়টা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। 

গবেষণায় দেখা যায় যে বিয়ে না করলে হতাশা বেশি আসে। আর হতাশা থেকে মুক্তির জন্য আমাদের বিয়ে করা উচিত আপনার বিয়ে কবে হবে কখন হবে এসব কিছু জানতে উপরিক্ত আলোচনা গুলো আপনাকে সাহায্য করতে পারে। একজন পেশাদার জ্যোতিবিদ থেকে শুরু করে হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুল পর্যন্ত দেখানো হয়েছে যে আপনার বিয়ে হবার লক্ষণ গুলো কি। সেই সকল কিছু জানতে আপনি উপরের আলোচনা গুলো পড়তে পারেন। 

উপরের আলোচনা গুলো পড়লে আপনার জীবনে কিছুটা হলেও পরিবর্তন এনে দিতে পারে।  


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

Mst.Manira Khatun
Mst.Manira Khatun
একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট মানিরা আইটি । তিনি অনলাইন ইনকাম, ব্লগিং, SEO ও টেকনোলজি নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করেন। ৫ বছরের অভিজ্ঞতায় তিনি শিক্ষার্থীদের অনলাইনে সফল হতে সহায়তা করে যাচ্ছেন।