অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করা কঠিন কোন বিষয় নয়। এটি ঝামেলা মুক্ত বাবা পেরাদায়ক কাজ নয়।কারণ বর্তমান ডিজিটাল এই যুগে সবকিছু অনলাইনে সম্ভব তাই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করা সেই রকম কোন কঠিন বিষয় না।


আনলাইনে-ভোটার- আইডিকার্ড-সংশোধন

বিশ্বের এ অনলাইন যদি কোন ঝামেলা মুক্ত ছাড়াই সবকিছু সম্ভব ঘরে বসে। ঘরে বসে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করা যায় খুব সহজে। চলুন ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনে কিভাবে সংশোধন করা যায় সে সম্পর্কে কিছু তথ্য জানি।

পেজ সূচিপতঃ 

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সম্পর্কে আলোচনা

বর্তমান বিশ্ব উন্নয়নের যুগ। তাই অনলাইনের এই যুগে কোন কাজই এখন কঠিন নয়। অনলাইনে সবকিছুই করা সম্ভব। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এটি বর্তমান বিশ্বের কারো অজানা নয়। যেআনলাইন হচ্ছে সরকারি কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। সরকারের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয় অনলাইনে। তাই অনলাইন জনগণের একটি সহজ মাধ্যম হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।

জনগণের যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাজ এখন ঘরে বসে সময় অপচয় ছাড়ায় জনগণের সুযোগ সুবিধা মত কাজ করতে পারে। তাদের প্রয়োজনীয় সবকিছু তথ্য যেমন ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করা

ভোটার আইডি কার্ড মানুষের লিপ্ত জীবনের সঙ্গীর মতো যে কোন প্রয়োজনে কাজে লাগে যেমন - কাজের প্রয়োজন প্রয়োজনে , বা চাকরি জীবনে , ও বিদেশে যাওয়া , ভ্রমোনে, ও এবং ব্যাংকের কাজে সর্বক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ড আমাদের দৈন্দিন জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ভোটার আইডি কার্ড কি

ভোটার আইডি কার্ড বাংলাদেশের জনগণের পরিচয় বহন করে। প্রত্যেক জনগণের যদি ১৮ বছর পূর্ণ হয় তবে তাকে ভোটার আইডি কার্ড বানানোর জন্য অনলাইন ফর্ম পূরণ করতে হয় বা ভোটার আইডি কার্ড বানানোর জন্য আবেদন করতে হয়। এ ভোটার আইডি কার্ড প্রত্যেক জনগণের পরিচয় বহন করে। ভোটার আইডি কার্ডকে সংক্ষেপে এন আই ডি কার্ড বলার হয়।

এনআইডি কার্ড বাংলাদেশের জনগণের পরিচয় বহন করে। বাংলাদেশের জনগণের একমাত্র পরিচয় হচ্ছে এনআইডি কার্ড। এনআইডি কার্ড থাকলে ভোট দেওয়া যায়। তাই আরো অন্যভাবে বলা যায় যে জনগণের পরিচয় বহন করার জন্য যে পরিচয় পত্র বানানো হয় অনলাইনে সরকারিভাবে তাকেই এনআইডি কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ড বলে।

এই এনআইডি কার্ড একটি দেশের পরিচয় বহনের জন্য প্রধান হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। তাই বাংলাদেশের জনগণের পরিচয় এর একমাত্র বাহক আইডি কার্ড। মানুষ যেখানে যাক না কেন পরিচয় হিসেবে আইডি কার্ড প্রমাণস্বরূপ তথ্য প্রদান করে।

বাংলাদেশের নাগরিকের জন্য পরিচয় হিসেবে সরকারি বেসরকারি বা শিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পরিচয় পত্রের গুরুত্ব অনেক।

ভোটার আইডি কার্ড থাকলে সরকারি ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সেই সাথে  সরকারি বেসরকারি কাজের সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়।

২০০৮ সাল থেকে ভোটার আইডি কার্ড এ ছবি যুক্ত কার্ড চালু হয়েছে। বর্তমানে অনেক ভোটার স্মার্ট কার্ড পেয়েছে যা বর্তমান যুগে ডিজিটাল ও উন্নতির সংস্কার হিসেবে ধরা হয়।

ভোটার আইডি কার্ডের নাম পরিবর্তন বা সংশোধন

আইডি কার্ডের নাম পরিবর্তন বা সংশোধন করার জন্য যে কোন সময় নির্বাচন করা যায় না কারণ এটি সরকারি কাজ। তাই নির্দিষ্ট সময় তারিখ অনুযায়ী আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সার্টিফিকেট বা আপনার জন্ম নিবন্ধন পত্র বা বিবাহ পত্র এই সব কিছু ডকুমেন্ট নিয়ে নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হয়। আবেদন জমা দেওয়ার পর প্রয়োজনীয় তথ্যাদি ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাই করে একটি নির্ভুল তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়।

প্রথমে আপনার আইডি নামের ভুল সংশোধন করা হয় যেমন-(আব্দুল থেকে আব্দুর রহমান) এরকম যদি ভুল থাকে তবে আপনার জন্ম সনদ বা আপনার সার্টিফিকেট অনুযায়ী আপনার নাম সঠিক করে নেওয়া। সার্টিফিকেটে যদি আব্দুর রহমান থাকে আর এনআইডি কার্ডে যদি আব্দুল থাকে তবে সেটা সংশোধন করে নিতে হবে।

অনলাইনে-ভোটার-আইডি-কার্ড-সংশোধনের-সকল-নিয়ম

কারণ সার্টিফিকেটের নাম অনুযায়ী আপনি সংশোধন করবেন ।আপনার সার্টিফিকেট আপনার পেশাগত কাজে বহন করবে। তাই সেদিকের লক্ষ্য রেখে আপনাকে আপনার আইডি কার্ড বানানোর জন্য নাম নির্ভুলভাবে সংশোধন করা আপনার একান্ত দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাই এগুলো আমার আপনার সবার গুরুত্ব দেওয়া খুবই দরকার। চলুন এনআইডি কার্ড অনলাইনে সংশোধনের জন্য আরো কিছু তথ্য জানি।

আইডি কার্ডের জন্ম সাল নির্বাচন করা 

নামের মত আইডি কার্ডের জন্ম সাল পরিবর্তন করা যাই সে ক্ষেত্রে আপনাকে সঠিক তথ্য দিতে হবে পরিবর্তন করার জন্য নির্বাচন অফিসে। আর যদি আপনার কাছে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থাকে তবে আপনি সেখান থেকে আনলাইনে সংশোধন করতে পারবেন।অথবা নির্বাচন অফিসের অনলাইনে  সংশোধন করার জন্য দরখাস্ত কপি বা ফরম পূরণ করে আরো কাগজ প্ত্র সঙে  জমা দিতে হবে। নির্বাচন অফিসের ওয়েবসাইট লিংক থেকে আপনি ফরম পূরণ করে সেখান থেকে অনলাইন দরখাস্ত কপি বের করতে পারবেন।

কিন্তু আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার বয়স হবে সার্টিফিকেট অনুযায়ী তাছাড়া আপনি অন্যথায় পরিবর্তন পারবেন না। তাই পরিবর্তন করতে গেলে আপনাকে স্ট্রং ডকুমেন্ট দিতে হবে যেমন সার্টিফিকেট একটি স্ট্রং ডকুমেন্ট হিসেবে আপনার কাজে সাহায্য করবে।নিচে আইডি কার্ডের জন্ম সাল পরিবর্তন করার জন্য যেসব ডকুমেন্ট প্রয়োজন সেগুলো দেওয়া হলো-

  • সঠিক জন্ম সাল পরিবর্তন করার জন্য এসএসসি সনদ বা এইচএসসি সনদ বা পাসপোর্ট জমা দিন।
  • পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি তার সঙ্গে জমা দিন। তার সাথে প্রয়োজনীয় হলফনামা যুক্ত করুন।
  • আর যদি সেই ব্যক্তি বিবাহিতা হয় তবে তার সাথে তার স্বামীর জাতীয় পরিচয় পত্র যুক্ত করতে হবে।
  • তার নাগরিকতা নাগরিক সনদপত্র চারিত্রিক সনদপত্র এবং সেই সপ্তাহের দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কপি জমা দিন।
  • আবেদন প্ত্রের সংযুক্ত ফটো কপি আবশ্যয় সত্যায়িত হতে হবে।
  • আপনার এই সংশোধনের রেকডটি অবশ্যই কেন্দ্রীয় ডাটাবেজে সংরক্ষণ থাকবে।
  • আবেদন জমা দেওয়ার পর প্রাপ্তি স্বীকার পত্র উল্লেখিত তারিখ অনুযায়ী আপনার সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ডটি বিতরণ করা হবে।

অনলাইনে আইডি কার্ড সংশোধনে কিভাবে কাজ করতে হয়

অনলাইনে আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ওপেন করতে হবে। ওপেন করার পর প্লেস্টোরে গিয়ে nid ওয়ালেট ডাউনলোড করতে হবে। ডাউনলোড করা সম্পূর্ণ হলে আপনার ল্যাপটপ থেকে বা কম্পিউটার থেকে গুগল ক্রোম ব্রাউজারে যেতে হবে সেখানে গিয়ে  লিখতে হবে সার্ভিসেস নিডো গভারমেন্ট বিডি ইংরেজিতে লিখতে হবে। লেখার পর  সার্চ বারে যাবেন। তারপর আপনার সামনে আসবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ইমেইলঃinfo@nidw.gov.bd হেল্প লাইন নাম্বার:১০৫,+৮৮০১৭০৮-৫০১২৬১ এখানে ক্লিক করুন।

তারপর আপনার কাছে রেজিস্ট্রেশন করুন অপশান আসবে সেখানে ক্লিক করুন।  সেখানে ক্লিক করার পর আপনার কাছে ক্ষমা আসবে সেখান থেকে ফর্ম পূরণ করুন। প্রমে যা থাকবে জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার কথাটি লেখা থাকবে সেখানে নম্বর দিতে হবে। তারপর জন্মতারিখ অপশনে আপনার জন্ম তারিখ দিতে হবে দিন মাস বছর অনুযায়ী

লেখা থাকবে ছবিতে প্রদর্শিত কোডটি প্রদর্শন করুন। সেখান থেকে কোডটি নিয়ে আপনার ফর্মে দিয়ে পূরণ করতে হবে।তারপর সাবমিট অপশনে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পর একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন আবার আসবে। সেখানে আপনার বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানাগুলো পূরণ করতে হবে নির্ভুলভাবে।

 পূরণ করার পর পরবর্তী অপশনে ক্লিক করতে হবে। আপনার মোবাইল নাম্বার দিতে হবে । মোবাইল নাম্বার দেবার পর আপনার মোবাইলে ৬ ডিজিটের কোড আসবে। আপনার মোবাইলে যে ছয় ডিজিটের কোডটি এসেছে সেখান থেকে কোডটি নিয়ে আপনার আবেদন ফর্মে দিতে হবে। দেবার পর আপনার ফরমে আপনার ফেস এর স্ক্যান চাইবে। 

সেখানে আপনার মুখের স্ক্যান করতে বলবে। সেখানে স্ক্যান করে দিবেন। দেবার পর ওকে করতে হবে তারপর আপনার কাছে প্রোফাইল দেখাবে। দেখুন অপশন আসবে সেখানে যেয়ে অপর সব ডকুমেন্ট দেখতে পাবেন। তারপর এডিট করার অপশন আসবে এডিট করার পর বহাল অপশনে ক্লিক করতে হবে।

 তারপর সেখান থেকে আপনি আপনার নাম বয়স বা পিতা-মাতার সব তথ্য যেকোনো তথ্য পরিবর্তন করতে পারেন সেখানে যেয়ে। তারপর আপনাকে বিকাশ প্রেমেন্ট করতে হবে বিকাশে পেমেন্ট করার পর আপনার আবেদনটি কমপ্লিট হবে

অনলাইনে সংশোধন করার কতদিন পর আইডিকার্ড পাওয়া যায় 

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত সময় লাগে এর সঠিক তথ্য বলা সম্ভব নয়। কারণ এটি সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এর উপর নির্ভর করে এই কাজের কতটা সময় নিবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ব্যস্ততা এবং অনলাইনে কতগুলো আবেদন পড়েছে এর উপর নির্ভর করে এবং রেজাল্ট কখন হবে বা সংশোধন এন আই ডি কখন পাওয়া যাবে।

আবেদন ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া কাজ শুরু হয়ে যায় কিন্তু মোবাইলের ভেরিফিকেশনের জন্য একটু সময় লাগতে পারে। তবে আপনি কি সমস্যার উপর আবেদন করেছেন বা আপনার সমস্যা যদি জটিল হয় সেক্ষেত্রে অনেক সময় লাগতে পারে। আর যদি সমস্যা অতটা যদি না হয় সাধারণ হয় তবে আপনার রেজাল্ট পেতে খুব সময় লাগবে লাগবে না। সেই ক্ষেত্রে আপনি তাড়াতাড়ি রেজাল্ট পেতে পারন।

আইডি কার্ড কি সরকারি কার্ড

 বাংলাদেশের একমাত্র পরিচয় হচ্ছে এনআইডি বাংলাদেশের মানুষের পরিচয় বহন করে। আপনি যদি ১৮ বছর নথিভুক্ত হন তবে আপনার দিন কার্ড বাধ্যতামূলক। এই প্রতিভুক্ত অবশ্যই করতে হবে দরকার। এন আই ডি কার্ড না থাকলে সরকারি বেসরকারি সকল সুযোগ সুবিধা থেকে আপনি বঞ্চিত হবেন এই কার্ড হচ্ছে সরকারি কার সরকারের যাবতীয় কার্যাবলী থেকে শুরু করে আপনার সারা জীবনের বা ব্যবসিক জীবনে সর্বক্ষেত্রে এই সরকারি কার্ড দরকার।।

 তাই প্রত্যেক নাগরিকের পরিচয় বহন করে এনআইডি কার্ডে। ২০০৮ সালে বাংলাদেশে বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশন বিদ্যমান। ১৮ বছর বয়সে সকল নাগরিক বা তার চেয়ে বেশি বয়সের সকল মানুষ বায়োমেট্রিক তথ্য ভান্ডারের সাথে যুক্ত।

আইডি কার্ড দিয়ে কি করা হয়

ভোটার আইডি কার্ড নাগরিকের সুবিধা বহন করে।জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে নাগরিকের নাগরিক পরিচয় দেই এবং দেশে-বিদেশে যে দেশেই যায় না কেন সকল দেশে যাবার জন্য এনআইডি কার্ড দরকার।সরকারি চাকরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে এন আই ডি প্রয়োজন। সরকারি চাকরিতে জয়েন্ট এর জন্য এনআইডি কার্ড দরকার। আপনি এক দেশ থেকে অন্য দেশ ভ্রমণ করবেন সে ক্ষেত্রে আইএনআইডি কার্ড আপনার জন্য খুবই প্রয়োজন। তাই আমাদের দৈনিক জীবনে এনআইডি কার্ড প্রয়োজন।

এনআইডি কার্ডের গুরুত্ব

প্রতিদিন কাজের জন্য বা যেকোনো প্রয়োজনে আমাদের যেমন আইডি কার্ড প্রয়োজন তাই আইডি কার্ড সংরক্ষণের জন্য গুরুত্ব দিতে হবে। আইডি কার্ড নির্ভুল সংশোধন থাকতে হবে। আর আইডি কার্ড যাতে আপনার কাছে থেকে হারিয়ে না যায় সেদিকে গুরুত্ব।








এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

Mst.Manira Khatun
Mst.Manira Khatun
একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট মানিরা আইটি । তিনি অনলাইন ইনকাম, ব্লগিং, SEO ও টেকনোলজি নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করেন। ৫ বছরের অভিজ্ঞতায় তিনি শিক্ষার্থীদের অনলাইনে সফল হতে সহায়তা করে যাচ্ছেন।